এমএবি সুজন, বিশেষ প্রতিনিধি, টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: সরকারী ও বেসরকারী প্রয়োজনে কোথাও সামাজিক শক্তিমান ভূমিদস্যুদের দখল বেদখল কবলে হারিয়ে না ফেরা পথে জলাচল রাজধানীর উত্তরা বাউনিয়া ও দক্ষিণখান কসাইবাড়ি খাল। শুধু স্থানীয় ভূমিদস্যুরাই নয় দখল অভিযোগের তীর সরকারের দুই মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের দিকেও। জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয়দের শঙ্কা, এই খাল দ্রুত দখলমুক্ত না হলে, বর্ষায় তলিয়ে যাবে এসব এলাকা। শুধু বর্ষা নয়, শুস্ক মৌসুমেও তৈরী হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। খালের ওপর নির্মিত স্থাপনায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি প্রবাহ। খাল দখল করে ভবণ নির্মাণ হলে বড় ধরণের ধ্বংসের আশংকা এলাকাবাসির। সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো জনগুরুত্বপূর্ণ বাউনিয়া খালের জায়গা ছেড়েই প্রকল্প হাতে নেবে এমন দাবি ওয়াসা, সিটিকর্পোরেশন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের। তবে বৃহত্তর উত্তরা, নতুন ও পুরনো এয়ারপোর্ট এলাকা, মিরপুর, কাফরুল, ভাষানটেক ও পল্লবী এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য মিরপুর ১৪ থেকে গোড়ান চটবাড়ি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বাউনিয়া খালের জায়গা রাখে ওয়াসা। মুল পরিকল্পনায় প্রস্থে ষাট ফুট থাকলেও বাস্তবে অনেক জায়গায় নেই দশ ফুটও। বর্ষার কথা মাথায় রেখে দিন রাত চলছে বর্জ্য উত্তোলনের কাজ। কিন্তু পানি প্রবাহ বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে খোদ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাষানটেক পূনর্বাসন প্রকল্পের কারনে। খালটি ধরে আরেকটু এগুলেই গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জয়নগর প্রকল্প। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসির অভিযোগ, খালের ওপর ভবন নির্মাণ করেছে তারা। একের পর এক সিটি করপোরেশন আর ওয়াসার চিঠি চালাচালি, যৌথসভা, সীমানা নির্ধারণ, কোনো কিছুই কাজে আসেনি খালের জায়গা উদ্ধারে। তবে জয়নগর প্রকল্প খালের জায়গায় হলে ভেঙে ফেলার পক্ষে গণপূর্ত মন্ত্রী। আর খালের ওপর ভাষানটেক পূনর্বাসন প্রকল্প অবৈধ প্রমাণিত হলে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী। এদিকে সিভিল এভিয়েশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকার যাবতীয় পানি যে খাল দিয়ে খালাস হতো সেই জনগুরুত্বপূর্ণ কসাইবাড়ি খালের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই বর্তমানে। খালটি অতি সংকীর্ণ বক্স কালভার্ট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও সিএএবি সুবিধা ও চাপে। অথচ বৃহৎ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করতে কসাইবাড়ি খালের প্রয়োজনীয়তা যে কতটা মূমুর্ষূ তা নাকানিচুবানি খেয়ে টের পায় আব্দুল্লাহপুর থেকে আশকোনা পর্যন্ত রেল লাইনের পূর্বপাড়ের বিশাল জনবহুল দক্ষিণখানবাসী। এতদ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার আরেকটি মূলকারণ স্বাভাবিক ভূমি লেভেল ও জনপথ থেকে মানুষের বসত ঘরবাড়ি ও বাজার, মার্কেট ভিটা নিয়ম ভেঙে অস্বাভাবিক হারে উঁচু করার তুমুল প্রতিযোগিতা যা দৃশ্যত বটে।