এমএবি সুজন, টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্ণীতি, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যসহ জোরপূর্বক নিরীহ মানুষের জায়গাজমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, ২টি সম্পূর্ণ ভুয়া ও জাল দলিলমূলে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীন গোপালপুর কেন্দ্রীয় বাজার সংলগ্ন ইতিপূর্বে গোপালপুর জুনিয়র হাইস্কুল বর্তমানে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি, প্রধান শিক্ষক ও এলাকার কিছু নীতিভ্রষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের যোগসাজশে স্থানীয় সিরাজ মিয়া গং এর ব্যক্তিমালিকানাধীন থানা নবীনগর ৫৫নং মৌজা গোপালপুরস্থিত ১৬৪২, ১৬৪৩, ১৬৪৪ ও ২০৪৬নং দাগের সাকুল্যে স্থানীয় মাপে প্রায় ৮৬ শতক জায়গাজমি অবৈধভাবে দখল নিয়ে স্কুলের নামে ভোগদখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নামে সৃজনকৃত ১১২৭ ও ১৬৬৪নং জাল দলিল তৈরিতে মূখ্য ভূমিকা ও সার্বিক দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ও অবৈধভাবে সোচ্চার আছেন, স্কুল কমিটি, মোজাহারুল সরকার, গোলাম কিবরিয়া, কালাম, আঃ জলিল, সৈয়দ জামান ও প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীসহ স্থানীয় কতিপয় টাউট বাটপার। জানা যায়, স্থানীয় জমিদার সিরাজ মিয়া গং ১৬৪২, ১৬৪৩, ১৬৪৪ ও ২০৪৬নং দাগের মোট ১০৬.৭৫ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক সেই ১৯৫৪ সাল থেকে। স্কুল কতৃপক্ষ ১৮/০২/১৯৭৭ ও ০৩/০৩/১৯৮৬ সালে মোট ৮৬ শতাং জমি ঐ ২টি ভুয়া দলিল বলে বেদখল করে রেখেছে। এদিকে স্কুল কমিটির দেখানো পদ্ধতিতে স্থানীয় মন মিয়ার নামে ২৭/০৬/১৯৮১ সনে একই ৪২৬৪ ও আঃ রহিম ও আঃ মালেকের নামে ৪২৬৫ নং জাল দলিল সৃজন করে তারাও অবৈধ দখলদার হিসেবে রয়েছে বহাল তবিয়তে। এবিষয়ে মন মিয়া বলেন, আমি কিছু জানিনা আমি সিরাজ মিয়াদের নিকট হতে কোন জমি ক্রয় করি নাই তবে এ বিষয়ে আঃ রহিমের ছেলে আঃ সালাম ও আঃ মালেক এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ভাই অলেক তারা ভাল বলতে পারবে। সরেজমিনে গিয়ে জাল দলিল সস্পর্কে জানতে চাইলে ভুয়া দলিল ও অবৈধ দখল বিষয়ে তারা কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। মোবাইল ফোনে জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সংবাদকর্মীরা। স্থানীয় গ্রমিবাসী বিষয়টি অবগত তবে জবরদখলকারীরা বর্তমান এমপি মোঃ ফয়জুর রহমান বাদলের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে।